সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ গাইড
সংযুক্ত আরব আমিরাত বা United Arab Emirates (UAE) হলো মধ্যপ্রাচ্যের একটি সমৃদ্ধ, সুখী ও নিরাপদ আরব দেশ।এটি ১৯৭১ সালে বৃটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।এই দেশটি বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ নগরীগুলোর অন্যতম ও পৃথিবীর ২৩ তম অর্থনীতির দেশ।
এটি ৭টি আলাদা স্বাধীন অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত।যাকে নিজস্ব ভাষায় আমিরাত বা Emirate বলা হয়।
এই দেশের রাজধানী শহর আবুধাবি।দুবাই এদেশের সবচেয়ে উন্নত, জনপ্রিয় ও বড় শহর।
এদেশে প্রায় ৯৮ লাখ মানুষ বসবাস করে যার প্রায় ৮৯% মানুষ বিদেশি নাগরিক যারা এখানে চাকরি বা ব্যবসা করে।
এর উত্তরে রয়েছে পারস্য উপসাগর (Gulf of Oman), পূর্বে ওমান, দক্ষিণ পশ্চিমে সৌদিআরব ও পশ্চিমে কাতারের সাথে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে।
আজকে আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আলোচনা করবো যা এদেশে ভ্রমণ করতে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কিছুটা হলেও উপকারী হবে বলে আশা করছি।
এই আর্টিকেলে যা যা থাকবে
📕প্রাথমিক তথ্য
📜ভিসা সংক্রান্ত তথ্য ও অন্যান্য ডকুমেন্টস
✈️আন্তর্জাতিক যাতায়াত ও খরচ
🕘ভ্রমণের সেরা সময়
🏦হোটেল ও আবাসন সুবিধা
🏞️গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান সমূহ
🚗লোকাল যাতায়াত
🍛খাদ্য ও সংস্কৃতি
📢নিরাপত্তা সতর্কতা ও পরামর্শ
📕প্রাথমিক তথ্যঃ
দেশের নামঃ সংযুক্ত আরব আমিরাত বা United Arab Emirates (UAE)🇦🇪
রাজধানীঃ আবুধাবি
বৃহত্তম শহরঃ দুবাই
রাজ্যঃ ৭টি। যথা- আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, ফুজাইরা, উম্ম-আল কুইন, রাশ আল খাইমা।
ভাষাঃ আরবি। ইংরেজি ও হিন্দি বহুল ব্যবহৃত।
মুদ্রাঃ দিরহাম
জিডিপিঃ মাথাপিছু ৮৭ হাজার ডলার।
প্রধান ধর্মঃ ইসলাম।
📜ভিসা সংক্রান্ত তথ্য ও অন্যান্য ডকুমেন্টসঃ
বিদেশে ট্রাভেল করতে গেলে একেবারে শুরুতেই আসে ভিসা।কারন যে দেশে যাবেন সেখানের ভিসা না পেলে কোন ভাবেই সে দেশে যাওয়া সম্ভব না।সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সময় ভিসা প্রদানে বিভিন্ন জটিলতা তৈরী করে।এর পেছনে বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিকগণ দায়ী।আমিরাত সাধারণত অন্যান্য দেশের মানুষের মতো বাংলাদেশিদের জন্যও ১/২ মাস ও ৫ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিজিট ভিসা দিয়ে থাকে।তবে যখন আমি এই ব্লগটি লিখছি তখন মানে ২০২৫ এর জানুয়ারি এই সময় আমিরাত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য সকল প্রকার ভিসা সুবিধা বন্ধ রেখেছে।তাই যখন ভিসা দেয়া শুরু হবে তখন আপনারা অনলাইন থেকে ভিসার খরচ ও বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবেন।
সাধারণত ১/২ মাসের ভিসার মূল্য হয়ে থাকে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে।এর সাথে কিছু সিকিউরিটি ডিপোজিট রাখা লাগে।মানে যিনি এদেশে আসবেন তিনি ফেরত যাবেন এই শর্তে ডিপোজিট রাখবেন ভিসা প্রদানকারী ট্রাভেল এজেন্সির কাছে।পরবর্তীতে বৈধ সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত গেলে বা অন্য ভিসায় কনভার্ট করলে ডিপোজিটের টাকা ফেরত পাবেন।ডিপোজিট রাখা না রাখা ভিসা প্রদানকারী ট্রাভেল এজেন্সির উপর নির্ভর করে।
📜অন্যান্য ডকুমেন্টসঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশ ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে,
🔹অর্জিনাল পাসপোর্ট
🔹ভিসা কপি
🔹যাওয়া আসার বিমান টিকেট
🔹হোটেল বুকিং
🔹ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
🔹খরচ করার মতো কিছু কারেন্সি সাথে রাখতে হবে।কারেন্সি লোকাল বা ডলারে হওয়া আদর্শ।
🔹এছাড়া নির্দিষ্ট দেশের ক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইটে আরো অতিরিক্ত কোন তথ্য যুক্ত করতে পারে।
✈️আন্তর্জাতিক যাতায়াত ও খরচঃ
বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণত বিমানে যাতায়াত সুবিধা রয়েছে।দেশের মূল বিমানবন্দর বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত এদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দরগুলোতে বিমান যাতায়াত করে থাকে।
এদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দরগুলো হলো শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আবুধাবি, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইত্যাদি।
✈️ঢাকা থেকে নিয়মিত যেসব বিমান এদেশে যাতায়াত করেঃ
🔹বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
🔹এমিরেটস এয়ারলাইনস
🔹ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস
🔹ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনস
🔹ইতিহাদ এয়ারলাইনস
🔹এয়ার এরাবিয়া ইত্যাদি।
এছাড়া ভারতের কিছু কানেক্টিং ফ্লাইট ও নিয়মিত যাতায়াত করে।
✈️চট্টগ্রাম থেকে যেসব ফ্লাইট নিয়মিত যাতায়াত করেঃ
🔹বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
🔹ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস
🔹সালাম এয়ার
🔹এয়ারএরাবিয়া ইত্যাদি।
💵ভাড়াঃ এসব বিমানে যাওয়া আসা ভাড়া নির্দিষ্ট বিমান ও সময়ের উপর নির্ভর করে।তবে সাধারণত ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
🕘ভ্রমণের সেরা সময়ঃ
এটি একটি মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর দেশ।যেখানে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাপক গরম পড়ে।এই সময় তাপমাত্রা ৫০° সেলসিয়াস এরও বেশি হয়ে থাকে।
তাই ভ্রমণের আদর্শ সময় হতে পারে শীতকাল নভেম্বর থেকে মার্চ মাস।যখন আবহাওয়া অত্যান্ত মনোরম ও সুন্দর।
🏦হোটেল ও আবাসনঃ
এটি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়াতে হোটেল বা ট্রাভেলারদের জন্য ভ্রমণ খরচ তুলনামূলক বেশি।এখানে হোটেল ভাড়া নির্ভর করে শহর, লোকেশন ও হোটেলের মানের উপর।দুবাইতে সাধারণত ৫০ দিরহাম থেকে ২০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত হোটেল রুম পাওয়া যায়।যা অন্যান্য শহরে আরেকটু কমে পাওয়া সম্ভব।এজন্য আসার পূর্বে বিভিন্ন অনলাইন হোটেল বুকিং সাইটে ভিজিট করে ধারণা নেয়া যেতে পারে।
🏞️ গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
এদেশে বিশ্ববিখ্যাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্পট রয়েছে যা নিচে শহর অনুযায়ী ধারাবাহিক ভাবে দেয়া হলোঃ
দুবাইয়ের দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
🔹বুর্জ খলিফা (বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন)
🔹দুবাই মল (বিশ্বের অন্যতম বড় শপিংমল।
🔹দুবাই এ্যাকোয়ারিয়াম ও আন্ডারওয়াটার চিড়িয়াখানা (যা দুবাই মলের ভেতরে অবস্থিত)
🔹পাম জুমেইরা (কৃত্রিমভাবে তৈরি পাম গাছের আকৃতিতে দ্বীপ যেখানে বিলাসবহুল হোটেল ও বাড়িঘর রয়েছে)
🔹দুবাই মেরিনা (সবচেয়ে উন্নত এলাকাগুলোর অন্যতম)
🔹বুর্জ আল আরব (বিশ্বের একমাত্র ৭ তারকা হোটেল)
🔹দুবাই ফাউন্টেইন
🔹মিরাকল গার্ডেন (বিশ্বের বৃহত্তম ফুলের বাগান যেখানে সাজানো তরতাজা প্রায় ৫০ মিলিয়ন ফুল)
🔹দুবাই ফ্রেম
🔹জুমেইরা বিচ (সমুদ্র সৈকত)
🔹গ্লোবাল ভিলেজ (যেখানে বিশ্বের অন্তত ১০০ দেশের সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী স্টল রয়েছে)
🔹ডেজার্ট সাফারি
🔹আইএলডি ওয়াল্ড অব এডভেঞ্চার
🔹বার দুবাই (দুবাইয়ের পুরাতন ঐতিহ্যবাহি বাজার)
🔹দুবাই ক্রিক সমুদ্র সৈকত
🔹দু্বাই ফিউচার মিউজিয়াম
🔹গোল্ড শুক বা মার্কেট (পৃথিবীর বৃহত্তর স্বর্ণের বাজার)
🔹মামজার বিচ ও পার্ক
🔹সোনাপুর, আল কুচ ও জেবেল আলী লেবার ক্যাম্প (যেখানে অন্যরকম এক বিপরীত দুবাই শহর দেখা যায়) ইত্যাদি।
🏞️আবুধাবির দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
🔹শেখ জায়েদ গ্রান্ড মসজিদ (দেশের সবচেয়ে বড় ও নান্দনিক ডিজাইনের মসজিদ)
🔹লুভর আবুধাবি মিউজিয়াম
🔹ইয়াস আইল্যান্ড
🔹কাসর আল হোসেন (পুরাতন ঐতিহাসিক দুর্গ)
🔹কর্নিশ (সমুদ্র তীরবর্তী মনোরম এলাকা)
🔹এমিরেটস প্যালেস
🔹সাদিয়াত আইল্যান্ড বা সমুদ্র সৈকত
🔹আল আইন ওয়েসিস (ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের ঐতিহাসিক স্থান) ইত্যাদি।
🏞️শারজার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
🔹শারজাহ মিউজিয়াম অব ইসলামিক সিভিলাইজেশ্যন
🔹আল নূর মসজিদ
🔹আল মাজাজ ওয়াটারফ্রন্ট
🔹শারজাহ আর্ট ফাউন্ডেশন
🔹শারজাহ ডেজার্ট সাফারি
🔹আল কাসবা (বিনোদন কেন্দ্র)
🔹হার্ট অব শারজাহ ইত্যাদি।
🏞️আজমানের দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
🔹আজমান মিউজিয়াম
🔹আজমান বিচ (কক্সবাজারের চেয়েও উঁচু ঢেউয়ের বিচ)
🔹আজমান সিটি সেন্টার
🔹আল হামরিয়া ফ্রি জোন (জনপ্রিয় ব্যবসা কেন্দ্র)
🔹শেখ জায়েদ পার্ক ইত্যাদি।।
🏞️ফুজাইরাহর দর্শনীয় স্থানঃ
🔹ফুজাইরাহ পোর্ট
🔹আল বিদিয়া মসজিদ
🔹ফুজাইরাহ সেন্ট্রাল মঞ্চ
🔹ফুজাইরাহ মিউজিয়াম
🔹ফুজাইরাহ বিচ ইত্যাদি।
🏞️উম্ম-আল কুইনের দর্শনীয় স্থানঃ
🔹উম্ম-আল কুইন পোর্ট
🔹আল দার
🔹উম্ম-আল কুইন মিউজিয়াম
🔹আল মুরারাহ বিচ ইত্যাদি।
🏞️রাশ আল খাইমার দর্শনীয় স্থানঃ
🔹জাবাল জাইস পর্বত
🔹রাশ আল খাইমা পোর্ট
🔹আল হারমা ভিলেজ
🔹রাশ আল খাইমা মিউজিয়াম ইত্যাদি।
🚗লোকাল যাতায়াতঃ
এদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে থাকে।এছাড়া এখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে পাবলিক বাস, মেট্টোরেল, রেল গাড়ি, ট্রাম গাড়ি, মনোরেল, ট্যাক্সি ও রাইড শেয়ারিং কার ইত্যাদি।
যাতায়াত ভাড়া সাধারণত যাতায়াত দূরত্বের উপর নির্ভর করে।
দুবাইয়ের ক্ষেত্রে মেট্টোরেলের ভাড়া ৩ দিরহাম থেকে শুরু এবং সর্বোচ্চ ৭.৫ দিরহাম যা বাংলা টাকায় ১০০ থেকে ২৩০ টাকা পর্যন্ত।পাবলিক বাসের ক্ষেত্রেও প্রায় সমান তবে এক আমিরাত থেকে অন্য আমিরাতের ক্ষেত্রে দূরত্বের উপর নির্ভর করে।দুবাই থেকে আবুধাবির পাবলিক বাস ভাড়া ২৫ দিরহাম।দুবাই থেকে শারজাহ বাস ভাড়া ১৫ দিরহাম। দুবাই থেকে ফুজাইরাহ বাস ভাড়া ২৫ দিরহাম।
দুবাই ট্যাক্সির ক্ষেত্রে ২.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ১২ দিরহাম সর্বনিন্ম ভাড়া।আবার এয়ারপোর্ট ট্যাক্সির ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম ভাড়া ২৫ দিরহাম।
দুবাইয়ের যেকোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার জন্য NOL কার্ড নামে একটি কার্ড যেকোন বাস বা মেট্রোরেল কাউন্টার থেকে নিতে হয় যার মূল্য ৬ দিরহাম। এখানে পরিমাণ মতো দিরহাম রিচার্জ করে যাতায়াত করতে হয়।দুবাই শহরের মধ্যে যাতায়াত করার জন্য সর্বনিন্ম ব্যালেন্স ৭.৫ দিরহাম থাকতে হবে।
এছাড়া এখানে একটি বড় সুবিধা হলো, আপনি যেকোন বাস বা মেট্রোরেল থেকে নেমে অন্য একটি বাস বা মেট্রোরেলে উঠলে ডাবল ভাড়া নিবে না।টোটাল দূরত্ব হিসেব করে ভাড়া নেয়া হবে যা NOL কার্ড দ্বারা হিসেব করা হয়।অর্থ্যাৎ দুবাইয়ের যেকোন জায়গায় যাতায়াত করার জন্য পাবলিক সার্ভিসের ক্ষেত্রে NOL কার্ড বাধ্যতামূলক।
এখানে দুবাই ক্রিক নদী রয়েছে যেখানে সবসময় মাত্র ১ দিরহাম খরচে নৌকা ভ্রমণে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বের পথ পার হওয়া যায়।মানে বার দুবাই থেকে দেইরা দুবাই যাতায়াত করা যায় এই নদী ব্যবহার করে।
🍛খাদ্য ও সংস্কৃতিঃ
খাদ্যঃ এদেশের মানুষ যথেষ্ট উন্নত জাতের খাবার খেতে অভ্যাস্ত।তারা আরব খাবারের মধ্যে ছোট ছাগল বা ভেড়ার মাংস বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত করে খেয়ে থাকে।এখানের মানুষ ন্যাচারাল অন্যান্য খাবারের মধ্যে উটের মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ও রুটি খেতে অভ্যাস্ত।
সংস্কৃতিঃ এদেশের মানুষ সাধারণত ভদ্র ও শান্তিপ্রিয়।কিন্তু দুবাইয়ের শহরের কারো কারো ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায়।সর্বপরি এদেশের মানুষ সাধারণত মিশুক ও ভদ্র স্বভাবের।পুরুষরা নিজস্ব সাদা লম্বা কান্দুরা নামে একটি পাঞ্জাবি পরিধান করে ও মহিলারা কালো বোরকা পরিধান করে থাকে।ইসলামী কালচারাল দেশ হওয়াতে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইসলামি দ্বারায় জীবন যাপনে অভ্যাস্ত তবে দুবাইয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা দৃশ্য দেখা যায়।
📢নিরাপত্তা সতর্কতা ও পরামর্শঃ
যেহেতু এই দেশ যথেষ্ট নিরাপদ দেশ তাই এখানে রাত দিন ২৪ ঘন্টা চলাচলে কোন অসুবিধা হয় না।যেসব এলাকা গহীন মরুভূমির সেগুলোতে কখনো কখনো কিছু অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে (শোনা কথা সত্য নাও হতে পারে)।তাই এই দেশ ভ্রমণ হতে পারে আপনার জন্য একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা।
পরামর্শঃ
🔹নতুন কোন দেশে গেলে সেখানের স্থানীয়দের সাথে কোন প্রকার দ্বন্ধে জড়ানো উচিৎ নয়।
🔹উচ্ছৃঙ্খল কোন কাজকর্মের সাথে জড়ানো অনুচিত।
🔹অনৈতিক ও অসামাজিক সকল কিছু পরিহার করা উচিৎ।
🔹নেশা ও নারী সংক্রান্ত যেকোন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
🔹যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
যেকোন তথ্য ও পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার ভ্রমণটি নিরাপদ, সন্তুষ্টজনক ও শুভকর হোক।
আমাদের প্রতিষ্ঠান Digital Point Tourism নিয়মিত আজারবাইজান সহ বিভিন্ন দেশে ট্যুর প্যাকেজ পরিচালনা করে থাকে।আপনি চাইলে আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
লেখকঃ
Abdul Hakim.
abdulhakimbd010@gmail.com
+971566229773.